
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
গাজীপুরের মৌচাকে টপ স্টার এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফুটপাত, সার্ভিস রোড ও ফুটওভার ব্রিজ দখল করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকান ও পণ্য গুদাম। প্রতিদিন এসব স্থানে চলছে রমরমা ব্যবসা। এতে যানজট, দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের চিত্র।
এই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য পোশাক শিল্প কারখানা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কলেজ। প্রতিদিন হাজারো শ্রমিক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু ফুটপাত ও সার্ভিস রোড দখল হয়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে মূল হাইওয়েতে চলাচল করছেন, ফলে ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে।
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মালামাল রাখার কারণে রিকশা, সাইকেলসহ ছোট যানবাহনের চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মালামাল উঠানামার জন্য প্রতিদিন বড় বড় ট্রাক ও পিকআপ ঘণ্টার পর ঘণ্টা সার্ভিস রোডে দাঁড়িয়ে থাকে, এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং আশপাশের মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়ে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রজব আলী বলেন, “আমরা মহাসড়কের পাশের জায়গাগুলো জামানত দিয়ে ভাড়া নিয়েছি এবং নিয়মিত ভাড়া দিই। তাই সার্ভিস রোড ও ফুটপাত ব্যবহার করছি।”
অন্যদিকে রিকশাচালক রুহুল আমিন বলেন,
“আমরা সার্ভিস রোড দিয়ে চলাচল করি, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখানে মালামাল রাখে। হর্ণ দিলে উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। বাধ্য হয়ে হাইওয়েতে উঠতে হয়, তখন পুলিশ মামলা দেয়। একবার হাইওয়েতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে আমার পায়ে মারাত্মক আঘাত পাই।”
এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়ির দুই পাশে মালামাল রাখায় সেটা ব্যবহারই করা যায় না। ফুটপাতেও হাঁটার সুযোগ নেই। প্রতিদিনই যানজট ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন সবই দেখে এবং জানে। বছরের পর বছর ফুটপাত ও সার্ভিস রোড দখল করে ব্যবসা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে নাওজোর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাওগাতুল আলম বলেন,
“জনবল সংকটের কারণে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না। বক্তব্য নিতে হলে কমিশনার স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।”
স্থানীয়রা মনে করেন, দ্রুত উদ্যোগ না নিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে যানজট, দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। তারা অবিলম্বে ফুটপাত, সার্ভিস রোড ও ফুটওভার ব্রিজ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।